মুক্তিযুদ্ধের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বার আমার দেখা(মসজিদটি এখন কিছুদিন হয় নুতন নির্মিত:) এর পরথকে:
এই পথ দিয়ে নদীর পার আবিস্কার করে( পাকিস্থানি হানাদার বাহিনি)তারা ফেরত যায় ,তার পরদিন তারা আবার এসে নদী পথ দরে তাদের মুল লক্ষ্যস্থল শুভপুর ব্রিজ আক্রমণে সব পরিকল্পনা করে হাবিলদার বাসার উপর দিয়ে উঠে আসে ,অর্থাৎ যে পথ ধরে পূর্ব দিকে দুই কিলোমিটারের মাথায় আমলীঘাঁট ইন্ডিয়ার বর্ডার ,এখান থেকে শুভপুর ব্রিজ ৭০০ মিটার মত। (যেখানে এখন ফেনী নদীর ওপার থেকে ইন্ডিয়ার সীমানায় পাম্প বসিয়ে ইন্ডিয়া তার দেশের ঐ এলাকার কৃষকদের সেচের ব্যবস্থা করেছে,যদি ও এনিয়ে বাংলা দেশ ইন্ডিয়ার মধ্যে কিছুটা বিতর্ক চলছে)।তাদের(পাকিস্তানি আর্মির)ঘাঁটি ছিলো তখন জোরালগঞ্জ স্কুল ,মাঠ আর দিগিরপার নিয়ে,তারা ওখানে পিরেগেল শুভপুর আক্রমনের সব প্রস্তুতি সম্পন্য করে ,ওখানে চট্রগ্রাম থকে টেংক আর ভারি গোলাবারুদ এনে একাত্র করলো এখন সব প্রস্তুতি শেষ পর দিন সকালে তারা জোরালগঞ্জ ঘাঁটি থকে কামানের গোলা নিক্ষেপ শুরু করলো প্রথমে ব্রিজের দক্ষিণ পারে হাবিলদারবাসা নিয়া ব্রিজ পর্যন্ত দক্ষিণ পাশে দুই মাইল এলাকা নিয়ে সাধারন জনগনের বাড়ি ঘর লক্ষ্য করে প্রচুর কামানে গোলা অনবরত পড়তে দেখেছি ওখানে আসপাসের ঘর বাড়ি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো কামানের গোলার আঘাতে ঐ এলাকার অনেক লোক মারা যাওয়ার খবর আসতে লাগলো এক দেড় ঘন্টার মধ্যে এলাকা জনমানব শূন্য হয়ে গেল আমরা ফেনী নদীর পশ্চিম পাড় দেড় কিলোমিটারের (প্রায়)মাথায় থেকে নিরাপদ স্থান থেকে ঘটনা দেখতে ছিলাম ,আমরা তো তখন ১২ বৎসরের তরুন ভয় কি আমাদের আদ ও ছিল ?বিকেলের দিকে দেখতে লাগলাম ঐযে স্কুল পোড়ায়েছিলো করের হাটের পশ্চিমে জায়গার নাম ছত্তরুয়া সেই পথ দিয়ে ফেনী নদীর পার হয়ে টেংক নদী ঘেঁষে শুভপুর ব্রিজের দিকে আগাচ্ছে , তারা পশ্চিম জোয়ার সীমানায় এসে প্রায় আমাদের থেকে ৫০০ মিটারে মাথা আসলে ব্রিজ নজরে আসে এখানে আসা মাত্র ৩/৪ টা টেংক দেখেছি আমরা সব টেংক থেকে ব্রিস্টির মত মেসিন গানের গুলি ছুড়তে লাগলো আর উপর দিয়ে জোরালগঞ্জ ক্যাম্পের থেকে কামানে গোলা, আর পায়ে হেঁটে স্থল পথে যারা এসেছিল তারা সমানে আগুন দিয়ে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে ব্রিজের কাছে এসে গেলো(তাদের হাত থেকে স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা কিছুই রেহাই পেলোনা) একসাথে টেংক আর স্থল বাহিনী ব্রিজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিল, নিয়ন্ত্রনে বাঙালি জারা ছিল ব্রিজের উত্তর পাসে তারা কোন প্রকার প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেনি কারন তারা জানতো তাদের প্রতিরোধ করার কোন ক্ষমতা নেই , তাদের সাথে প্রশিক্ষিত তখন কার ই পি আর এর কিছু জোয়ান ছিল তারা নিরাপদে সবাইকে নিয়ে সরে গেলো শুধু সাধারন পাবলিক ছাড়া কোন প্রতিরোধ কারি দেশপ্রেমীক কারো কোন ক্ষতি করতে পারলোনা , তাদের বিক্ষিপ্ত গোলাগুলিতে চত্তরুয়া , পর্চিম জেয়ার , হাবিরদারবাসা ,বরইয়া, অলিনগর এলাকার বহু সাধারণ লোক মারা গেল জারা ছিলো, আর অনেক লোক যারা জিবিত ছিলো তাদেরকে ধরে নিয়ে পিতা পুত্রকে সহ সবাইকে একসাথে লাইন ধরিয়ে গুলি করে হত্যা করলো , আমাদের খুব পরিচিত অনকই তাদের হাতে মর্মান্তিক ভাবে নিহত হলো,আমাদের এক নিকট আত্মীয় সে ২০২১ সালে পবিত্র হজ পালনের জন্য যাওয়ার সময় ৭১ সালে ঘটে যাওয়া তার জীবনের এক করুণ কাহিনী বলেছেন ঐ সময় তারা ২০/২৫ জনকে নিয়ে করের হাঁট বাজার এলাকায় এক ডোবার পাশে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে সেই হানাদার বাহিনী গুলি করে মারতে সুরুকরে এক পর্যায়ে তিনি বেহুশ হয়ে পড়ে যায় , হানাদারেরা মৃত ভেবে ছেলে জায়, পরে উনি হুস ফেরত পেয়ে দেখেন কেউ জিবিত নাই ।(উনি উপমা দিয়েছেন সেই হযরত ইব্রাহিম (আঃ:) কাবা ঘর নির্মাণ করে আল্লাহর হুকুমে ঐ ঘরে আসার জন্য ডাক দিতে বলেন আল্লাহ,তিনি (ইবরাহিম (আ:) )বলেন এই জনমানব হীন উপত্যকা আমি আর আমার পুত্র ইসমাঈল ছাড়া আর কেউ নেই আল্লাহ আমার ডাক শুনবে কে ? আল্লাহ বলেন ডাক তুমি দাও শোনার মালিক আমি , তখন ইব্রাহিম(আ:) ডাক দিলেন ,আল্লাহ রুহের জগতে কেয়ামতের পূর্বে যারা জন্ম নিবে তাদের মধ্যে ও কছু, কিছু রুহ কে এই ডাক শোনার সুযোগ করে দিলেন , যারা ঐ সময় (ইবরাহিম আ:) ডাক সুনেছে আজ পর্যন্ত ঐ রুহ দুনিয়াতে আসার পর হজ পালনে যাবে এটা মুসলমানরা বিশ্বাস করে ) উনি এই বলে কেদে ফেললেন ঐ দিনের ভয়াবহ স্মৃতি কথা সরণ করে ।এই খানেই তারা চট্রগ্রাম ডিভিসনের সবচেয়ে বড় কসাই খানায় পরিনত করলো। .. চলমান
Like this:
Like Loading...