এইটাই চট্রগ্রামের সবচেয়ে নিষ্ঠুর নির্মম সাধারণ বাঙালী হত্যা কান্ড।

এটাই চট্রগ্রামের সবছেয়ে নিষ্ঠুর নির্মম সাধারণ বাঙালী হত্যা কান্ড।

তখন যাতায়াত ব্যবস্থা খুব ভালো নাথাকার কারনে চট্রগ্রাম থেকে হাঁটহাজারি রেল গাড়িতে (ট্রেনে) অনোক লোক যাতায়াত করতো ,তখন ঐ হাটহাজারী এলাকার লোকেরা শহরে স্থায়ীভাবে কমই বসবাস করতো তারা শহরে আসলো অতি প্রয়োজনে , প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তারা আবার গ্রামে চলেজেত,তখন চট্রগ্রাম এস্টেশন চাটার পর পুরো রাস্তায় ছিল দুরগম নীরব এলাকা ,তারা (অবাঙালীরা) পরিকল্পনা করলো এইখানে একটা বড় হত্যাকান্ড সংগঠিত করার । চট্রগ্রাম স্টেশন থেকে অল্প দূরে(হাটহাজারী রাস্তায়) ঝাউতলা স্টেশন , ছোট ছোট পাহাড় আর বনভূমি ঘেরা এই জাউতলা বিশাল এলাকায় .(ইন্ডিয়া বিহার থেকে বিতাড়িত ) বিহারি অবাঙালী দের বিশাল কলোনি, এখানে যারা স্থায়ী ভাবে বসবাস করতো তারা ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে সবাই এখানে এসে জড়ো হলো, আবার তার এক কিলোমিটারের মধ্যে ফিরোজ শাহা । এই খবর শহরের বিভিন্ন স্থানে জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর বাঙালিরা  সর্তক হয়ে জায় শহরে খুবই থমথমে অবস্থা প্রতি  মধ্যে চট্রগ্রাম বন্দরে আলসামর্চ জাহাজে করে টিক্কা খানেরই নির্দেশে পাকিস্তানি কয়েক হাজার সৈন্য আর গোলা বারুদ দিয়ে বন্দরের ৪নং জেটিতে নোঙ্গর করে শহরের বিভিন্ন স্থাপনা আর জনসাধারনের উপর লক্ষকরে কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে শুরু করলো বিরামহীন ভাবে , কসাই টিক্কা তার সৈন্য বাহিনীকে এই বলে নির্দেশ দিলো সে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্থানের মাটি চায় মানুষ তার প্রয়োজন নাই. এই বিহারী দের আর এক বিশাল কলোনি সবাই এক হয়ে ঘটনা ঘটাতে পরিক্লনা করলো-পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে তারা (বিহারি)স্টেশনের আশেপাশে অবস্থান নিলো ,যেহেতু এখানে বাঙালি জনগোষ্ঠীর যাতাত ছিলোনা সেহেতু কেউ তাদের এই নিসংষ পরিকল্পনার মোটেও আঁচ করতে পারলো না ,নিয়ম মোতাবেক ট্রেন যখন স্টেশনে থামলো সাথে সাথে বিহারী পশু আচরণের হায়নারা ট্রেনের প্রতিটি বগিতে দরজায় ৫/৭জন করে উঠে পড়ল ,তারা এক দরজা বন্ধ করে শুধু এক দরজা খোরা রেখে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পড়লো এবং তারা কিছু বুজে উঠার আগেই প্রতিটি বগির নিরীহ (বাঙালি )যাত্রীদেরকে খত বিখ্যাত করে দিলো ,আর যারা বেঁচে ছিল ( অর্ধমৃত ) তাদের এবং মৃত সবাইকে অল্প উত্তর পৃর্ব দিকে বত্ত মানে ডায়াবেটিস হাসপাতাল ,চট্রগ্রাম টি ভি সেন্টারের উত্তর দিকে রাস্তার ( কুলসি হয়ে একে খান কানেক্টিং রোড) উত্তপাসে সাবেক ইউ এস টি চি এর স্টিল স্ট্রাকচারের যে ভবন হচ্ছে সেই খান দিয়ে ৬০/৭০ মিটার ভিতরে তখন সেখানে ছোট টিলার নিচে ছোট একটা ডোবার মত নিচু জায়গা ছিল সেখানে নিয়ে সবাইকে ( মৃত আর অর্ধ মৃত)পেলে দিলো ,যারা জীবিত চলো তাদের পশুর মতো জবাই করে মারলো ,তখন ও ঐ রাস্তা ছিলো ,তবে ভারি জঙ্গলে ঘেরা (চিকন সর্বোচ্চ ১৫ ফিট হবে) মাঝে মধ্যে সারা দিনে হয়তো ৮/১০টি গাড়ি চলতো ,আর তখন তো ( ২৫শে মার্চ ১৯৭১ পর )এই রাস্তায় কোন গাড়ি চলতো না বিহারীদের ভয়ে সবছেয়ে বড় কস্টের বিসয় হলো চট্রগ্রামের এতবড় নৃশংস হত্যাকান্ডের চিহ্ন বদ্ধভুমি সংরক্ষণ না হয়ে সামান্য জায়গা নিয়ে বিহারীদের নর হত্যার চিহ্ন নিয়ে টিকে থাকা বদ্ধ ভুমি বলা হচ্ছে কিন্তু সেটা শুধু বধ্যভূমি নয় আসল বদ্ধভুমির উপরে ৭ তলা ফ্লাট বাড়ি হয়ে গেছে । সেদিনের নর হত্যার শিকার যারা হয়েছেন তাদের ৯০ শতাংসের পরিবার আজ ও জানেনা তাদের স্বজন কোথায় ,বাড়ি থেকে বের হয়ে আর পিরলোনা কেন ? তারা সুধু জানে তাদের বাবা, ভাই,স্বামী শহরে প্রয়োজনের তাগিতে গিয়াছে ,পিরে আসবে , ৫০ বৎসর পর ও কেউ ভাবে তাদের স্বজন পিরে আসতে ও পারে অপেক্ষায় এখনো পথ ছেয়ে আছে তখন কার ১ বৎসরের ছোট্ট মেয়েটি ৫০ বৎসর ধরে প্রিয় বাবার পথের পানে বাবা হয়তো আসতে ও পারে তারা কেউ আজো জানেনা সে দিন তাদের প্রিয়জনের সাথে কি নিষ্ঠুরতা হয়েছে কি নির্দয় নির্মমভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে ।
এই সেই স্থান যেখানে সেই দিনের নরহত্যার শিকার হতভাগ্যদের লাশ পেলে গিয়ে ছিল ।
আজকের বধ্যভূমি (ইন্নালিল্লাহে ওইন্না ইলাইহি রাজিউন)
১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করছেন।
১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করছেন।
মেজর জিয়াউর রহমান সম্বন্ধে কিছু না লিখলে কাহিনি অপূর্ণ থেকে যায় তাই আমার জানা মতে অতি সত্য টা না দেখলেই নয়।২৫ শে মার্চ রাত্রে পাকিস্থানিরা পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে জখন চট্রগ্রাম বন্দরের ৪ নং জেটি থেকে বাঙালি নিধনের জন্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালাস করে এবং চট্রগ্রাম সেনানিবাসে খুদে বার্তা দেয় (পাকিস্তানি সেনাবাহিনী) কিল হিম kill him এই খবর আল্লার মেহের বানি বাঙালি অপারেটর জেনে ফেলে এবং সকল বাঙালি দের কাছে পৌঁছে যায়, তখন সকল বাঙালী সেনাবাহিনী এক হয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের বন্দি করে সেনানিবাস নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসে এবং ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান কালুর ঘাট বেতার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বাংলা দেশের স্বাধীনতার ঘোষণার সমর্থনে উদ্বেগ কন্ঠে একটি বিবৃতি পাঠ করেন , এখন তিনাকে নিয়ে যত অতিরন্জিত ঘটনার অবতারণা হচ্ছে তা কিন্তু জিয়াউর রহমান সাহেব ও কখনো কল্পনা করেনি, তখন তিনি একজন ৩৪ বৎসরে নওজোয়ান অফিসার মাত্র ,একটি সেক্টরের একজন মেজর দেশের কতটুকুই বা দায়িত্ব বহন করে ,যাই হোক এতে রাজনিতি এসেজায় আমি কিন্তু রাজনিতি বিদ নই পাঠকের কাছে ক্ষমা চাই অতটুকু লেখার জন্য , আমি এখানে আমার ,নজরে পাকিস্তানের নিষ্ঠুরতাকে কিছুটা তুলে ধরতে চেষ্টা করছি (১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত  জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন মেজর মাত্র অর্থাত পাকিস্তানি প্রজাত্রন্তের একজন কর্মচারি ।


                                                     
                     

By Harun

I am a technician and website builder, founder of Life Tools (marketing network), I’m here especially with my (daughter Eva) artist showing her paintings and Envato market place all digital products Also a group of specialists combine different techniques Nutrition, Makeup and fashion, helping people by publishing various free tips related to technology, English language Learning, Forex education, online money making tips .There is also the story of the contribution of chattogram during the liberation war

8 thoughts on “এটাই চট্রগ্রামের সবছেয়ে নিষ্ঠুর নির্মম সাধারণ বাঙালী হত্যা কান্ড।”
    1. I am enthusiastic that you like my writing, I am insignificant but your appreciation will encourage me to write more.
      Thank goodness for advice.

  1. Wonderful web site Lots of useful info here Im sending it to a few friends ans additionally sharing in delicious And obviously thanks to your effort

Leave a Reply