Freedom seen in the memory of an elderly patriot

১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের নির্মমতা ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বার আমার দেখা অতি সামান্য স্মৃতি :

স্বাধীনতা কালীন সময়ের অতি সামান্য স্মৃতি লিখতে গিয়ে দির্ঘ ৬ মাস লিখা বন্দ হয়ে জায় কারন লিখায় কোথায় জানি অপূর্ণই থেকে যায়, বারবার লিখতে বসে ও সেই অপূরণীয়, যার কারনে লিখতে পারিনি , তবে বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে লিখবো অনেক- অনেক কিছু নিজের স্মৃতি থেকে সেটা প্রথম থেকেই কাঙ্ক্ষিত , আমার তখন কার চোট্ট মনটিতে জাহা কিছু ধারন  ছিলো সব মনথেকে লিখবো , তবে সেটা অনেক বড় হবে , আলাদা একটা পেজ হবে বা কএক পেজ ,কারন বঙ্গবন্ধুর কথাতো ছোট পরিসরে লিখে শেষ করা যাবে না ,  আল্লাহ তিনাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন হয়তো এই বাঙ্গালি জাতির ভাগ্যের পরি বর্তনের জন্য ,তখন কার কথা সেই ১৯৬৮,৬৯ সালে বাঙ্গালি সেটা যেন একটা গাল বা অপমানের শব্দ ছিলো ,জারা আমার মত বয়সের (তখন ) তারা হয়তো যদি আমার এই লিখা পড়ে,  তখন কার কথা স্বরন করে অবস্যই আতংকে উঠবে তাদের মন , কারন আজকের এই দিন আর ১৯৬৮,৬৯ সালে সেই দিনের তফাত খোজ করতে গিয়ে হারিয়ে যাবে কিন্তু তপাতের পার্সেন্টিজ মিলাতে পারবে না ,যে মানুষটি সারা জীবন নিজের সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে এই বাঙ্গালি জাতিকে মুক্ত ( আল্লাহর ইচ্ছায় ) সোনার বাংলা উপহার  দিয়েছেন তাঁর কথা আগে না লিখলে একেবারেই বেমানান , অসার্থক ,অপূর্ণ,যেন সার্থপরতা , তাই সর্ব অঙ্গে তিঁনার মায়াবী কন্ঠে ৭ই র্মাচের সেই ঐতিহাসিক ভাসনটি দিয়ে সূচনা করতে চাই ,যে ভাষণে স্বাধীনতার সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এই বাঙ্গালির মুক্তি কিসে হবে সেই নির্দেশনা আছে , সুধু মন দিয়ে বিস্লেশন করলেই কারো বুঝতে কষ্ট হবে না । আমি ক্ষমা ছেয়ে নিলাম বঙ্গবন্ধুর আত্মার কাছে আমার এই ভুলের জন্য আর মহান রাব্বুলআলামিনের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন এই মহান ব্যক্তির এই অবধানকে সামনে রেখে এর বিনিময় সরুপ তিনাকে জান্নাতে আলিয়া মাকামে স্থান করে দেন – আমিন (আমি চেস্টা করবো ভিডিও পুটুজ গুলি তুলেধরতে কাহিনির বিভিন্য স্থানে তিঁনার পথ নিদ্বেসনা যে গুলো স্বরন করে বাঙ্গালি আজ বিজয়ি, ভুল হলে ক্ষমা ও কমান্ড করবেন দয়াকরে ।

৭ই র্মাচ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার রমনা রেসকোর্সে ।

জাতিয় তিন নেতার মাজার

৭ই মার্চের ভাষণ: শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ভাষণের সময় রেসকোর্স ময়দানে যারা ছিলেন ।

৭ মার্চ ১৯৭১ প্রেক্ষাপট সৃষ্টি জানতে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১

মুক্তিযুদ্ধের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বার আমার দেখা ।

পরিচিতি:-২৫ মার্চ ১৯৭১ রাত্র-  ২৫ সে মার্চ ১৯৭১ আমি তখন ১২ + বৎসরের কিশোর

আমি তখন বর্তমান ফেনী জেলার অন্তর্গত ছাগলনাইয়া থানার একেবারে দক্ষিন কোনে মুহুরীগঞ্জ হাই স্কুলে  সপ্তম শ্রেণীতে পড়তে ছিলাম, আমাদের তৎকালীন বাড়ি কিন্তু ছিলো চট্রগাম জেলার মিরশরাই থানার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের কাটা পশ্চিম জোয়ার গ্রামে। এই ইউনিয়নের উত্তর কোনের শেষ গ্রাম আমাদের, আমাদের পশ্চিমে  প্রায় ৪০০ গজের মাথায় কুরাইল্লার বান ও রাস্তা 
সেটাই  নোয়াখালীর সিমানা , মিরসরাই ১নং করের হাট ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার গ্রামের বুক চিঁড়ে ফেনী নদী প্রবাহিত হলে ঐ গ্রামের কিছু বাড়ী নদীর পশ্চিম পারে ছলেগেলে সেই কয়েকটা বাড়ি নিয়েই আমাদের কাটা পশ্চিম জোয়ার ( ফেনী নদী গ্রামের পূর্ব দিকের  বাড়ি গুলি বেংগে (কেটে নিলে) যে বাড়ি গুলো অপর পারে গড়ে উঠে  তার নাম করন করাহয় কাটা পশ্চিম জোয়ার । এই কেটে আসা বাড়ির সংখ্যা ৬টা ,কিন্তু  ওপারে এসে হয়ে যায় ১২ টি ,এর মধ্যে উত্তর পূর্ব দিকে ৫ টি ,দক্ষিন পশ্চিম দিকে ৬ টি , আমাদের বাড়ির অবস্থান দক্ষিন পশ্চিম দিকের শেষ বাড়ি ,তার পর ( ৪০০ গজ প্রায়)লাঙ্গল মোড়া বিশাল গ্রাম ,এই গ্রামের দক্ষিণ দিকে লাগানো প্রায়- ধুমঘাট ব্রিজ (রেল- ফেণী নদির উপর)ওটা  চট্রগ্রাম ও নোয়াখালি, কুমিল্লা , 
ঢাকার  সিমানার সবছেয়ে বড় পাকিস্থানি আর্মি  ও রাজাকার,আলবদর দের কেম্প ,  এর পশ্চিম দক্ষিণ কোণে শান্তির হাঁট একসময়ের চট্রগ্রাম ও নোয়াখালীর সীমানায় বড়  হাঁট ও বন্দর(বঙ্গোপসাগররের মোহনায়) এর ১৮০০ গজের (প্রায়) পর বঙ্গোপসাগর ( শান্তির হাঁটের পর থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে বিশাল চর জাহা বর্তমানে ইকোনমিক জোন হচ্ছে ।ধুমঘাট ব্রিজ (রেল- ফেণী নদির উপর)এর সরাসরি উত্তরে ১৮০০ গজ (প্রায়)ফাজিলপুর ব্রিজ এখানে ও পাকিস্তানি আর্মি ও রাজাকার দের বড় কেম্প উহা মুহুরী নদীর উপর --আমাদের ৬ বাড়ির উত্তরে গ্রামের বাকি অংশ ৩০০ ( প্রায়) গজের মাথায় আমাদের কবরস্থান (কাটা পশ্চিম জোয়ার এর) কবরেরস্থানের প্রায় সাথে লাগানো পূর্ব পশ্চিম কোন হয়ে বাকি ৫টি বাড়ি , তার ২৫০ গজের মাথায় বিশাল গ্রাম জয়পুর এর সাথে কাছা কাছি লাগানো শুভপুর ব্রিজ জেখানে   ইন্ডিয়ার সাথে সীমান্তের  সবচেয়ে বড় পাকিস্তানি আর্মি ও রাজাকারদের ক্যাম্প এখানে টেংক ও ভারী অস্ত্র মজুত থাকতো-শুভপুর ব্রিজ থেকে উত্তর পূর্ব কোণে বল্লভ পুর (শুভপুর থেকে যে রাস্তা ফেনী হয়ে ঢাকার রোড় তখন কার)বল্লভপুর থেকে শ্রীনগর ইন্ডিয়ার বর্ডার ১ কিলোমিটার , তার কিছু উত্তরে   রাধানগর থেকে বর্ডার ১৫০ মিটার প্রায়, এই এলাকা ছিল বাংলাদেশ থেকে  শরণার্থী ও আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যাতায়াতের মূল কেন্দ্র তাই
পাকিস্তানিরা এই স্থান কেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকতেন..
আমার অবস্থান:-ফেনী নদীর পশ্চিম পারে আমার বাড়ি ,নদী থেকে ৫০ মিটার আমার ঘর,নদীর পানিতে আমাদের সব রকম ব্যবহারিক কাজ কর্ম ।আমার বাড়ি থেকে পূর্ব দিকে ৮০০ গজের মাথায় শুভপুর ব্রিজ( যেখানে চট্রগ্রাম জোনের প্রধান যুব্ধ খেত্র )আমার বাড়ি থেকে পশ্চিম উত্তর কোণে (সোজাসুজি )১ কিলো মিটার ফাজিলপুর ব্রিজ যাহা মুহুরী নদীর উপর রেল পথে এখানে মূল ঘাঁটি (চট্রগ্রাম জোনের)পাকিস্তান ও আলবদর, রাজাকার , দালাল বাহিনীর , আর আমার বাড়ি থেকে (সোজা সুজি)
৮০০ মিটার ধুমঘাট ব্রিজ (রেল ) যেখান থেকে নদী পথে বঙ্গোপসাগরের পার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতেন পকিস্থানিরা . (আমার অবস্থা টা এমন এখান থেকে খুব সহজে ভালো ভাবে অবস্থা দেখাযায় ,শুভপুর সবচেয়ে বড় কেম্প টা  খালি চোখে অনেকটা দেখা যায়)
কাহিনী শুরু..:-২৬ মার্চ জানতে পারলাম ২৫ মার্চ রাত্রে ঢাকা ,চট্রগামে  বিপুর পরিমানে গন্ডগোল হয়েছে , আর্মি কেম্প গুলোতে অনেক গন্ড গোল হয়েছে- চট্রগ্রাম ও ঢাকায়  বিহারির বসবাসের স্থান গুলোতে ,আর্মি ক্যাম্প গুলোতে অনেক গন্ডগোল হয়েছে , বিহারি বাঙালি কাটাকাটি হয়েছে ,সারা দেশে পাকিস্তানি বাঙালি মুখোমুখি অবস্থানে ,২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দেবেন এবং একটা চূড়ান্ত নির্দেশনা দিবেন আমরা ২৭ মার্চ  সেই মোতাবেক কাজ করবো বেলা ২ টার পর আমরা আমাদের স্কুল থেকে চলে আসলাম ২৭ মার্চ সকাল ৯ টার মধ্যে স্কুল হাজির থাকতে  হবে ।২৭ মার্চ ১৯৭১ সকাল ৯টায় আমরা 
স্কুলে জথা নিয়মে যাই ,২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে একযোগে সারা দেশের স্কুল,কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,মিল পেক্টরি সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায় , (অফিস আদালত এক কথায় সারা দেশের সব কিছু একবারে নিথর হয়ে যায়) আমাদের স্কুলের পশ্চিম পাশে লাগানো প্রায় রেললাইন আমাদেরকে আমাদের বড় ভাইয়েরা নির্দেশ দিলেন রেললাইন দিয়ে ২০০ গজের মাথায় ফাজিলপুর ব্রিজ এখানে অবস্থান নিতে যেন কোনো অবস্থাতেই রেল গাড়ী চলতে না পারে , যদি চলার অবস্থা দেখা দেয় ব্রিজের মাঝখানে লাইন উপড়ে ফেলতে , আমরা সকল  ছাত্র ভাইয়েরা একসাথে গিয়ে ব্রিজের  উপর অবস্থান নিলাম।আমরা ওখানে দুপুরের পরে ২ টা  পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে আসলাম স্কুলে - তার পর দিন ও আমরা স্কুলে গেলাম ২৮ মার্চ , জানতে পারলাম ঢাকা,চট্রগ্রাম সহ সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের ভাষণকে অনুসরণ করে দেশ স্বাধীন করার তুমুল আন্দোলন সুরু হয়েগেছে বিশেষ করে বিহারি + পাঞ্জাবি ( বাঙ্গালী অবাঙ্গালী)  ঢাকা,চট্রগ্রাম , সরিয়তপুর এই  ৩ শহরেই অবাঙ্গালীর বসবাস ,আমি চট্রগ্রামের  অবস্থাটা বেসি জানবো কারন আমি  চট্রগ্রামেরই বাসিন্দা ,চট্রগ্রামের বিভিন্য স্থানে জেসকল জায়গায় অবাঙ্গালীরা বসবাস করতো সবাই ৩/৪ দিনের মধ্যে একসাথে হয়ে গেল ,বাংলাদেশে অনেক পয়সার  মালিক অবাঙ্গালী ছিল তারা কিছু সংখক নিজে (২% ) বাড়ি করেছে বাকিরা বুজতো এ দেশ তাদের নয় যে কোন একদিন তাদেরকে এ দেশ  ছাড়তেই হবে তাই  তারা তখন কার ৪০/৫০ হাজার  টাকা ভাড়ায় থাকতো কিন্তু বাড়ি করতোনা। অবাঙালীরা হঠাৎ করে এমন হয়ে উঠলো বাঙালীদের উপর তারা ভাবতে ছিলো হয়তো বা এই বাঙালিদের কে মেরে শেষ করে ফেলবে আর বাকি যারা থাকে তারা ভয়ে তাদের অধীনে হয়ে থাকবে, এই পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোতে লাগলো এরি মধ্যে তারা এমন এক হত্যা কান্ড সংগটিত করে 
পেলো জাহা শিউরে উঠার মত ,
এই সেই ঝাউতলা রেল স্টেশন যেখানে রেলগাড়ি দাঁড় করিয়ে নিরীহ বাঙ্গালীদের হত্যা করেছিল অবাঙালিরা ইট পাথরের ঘর যেন সেদিনের ঘটনায় শোকাহত !!!!!!




এই সেই স্কুল পুনঃনির্মিত : এখন স্কুল রাস্তার ও পারে নুতন নির্মিত

রোড়

লাল ছিন্নিত স্থান সেই মসজিদ : মসজিদটি এখন কিছুদিন হয় নুতন নির্মিত:

সবে মাত্র এপ্রিল মাস আরো ৭ মাস ১৬ দিনের কাহিনী বাকি পড়ুন আরো । পড়তে এইখানে ক্লিক করুন

By Harun

I am a technician and website builder, founder of Life Tools (marketing network), I’m here especially with my (daughter Eva) artist showing her paintings and Envato market place all digital products Also a group of specialists combine different techniques Nutrition, Makeup and fashion, helping people by publishing various free tips related to technology, English language Learning, Forex education, online money making tips .There is also the story of the contribution of chattogram during the liberation war

Leave a Reply